ভূমিকাঃ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়াধীন সমাজসেবা অধিদফতর কর্তৃক ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশের ৪৭টি জেলায় সংশিস্নষ্ট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাথে ১টি করে সমন্বিত দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষা কার্যক্রম চালু করেন। সমন্বিত দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষা কার্যক্রম, মাগুরা তাদের মধ্যে একটি।
১। কার্যক্রমের নামঃ সমন্বিত দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষা কার্যক্রম, সমাজসেবা অধিদফতর, পারনান্দুয়ালী, মাগুরা।
২। অবস্থানঃ মাগুরা শহরের উত্তর-পূর্বদিকে ঢাকা- খুলনা মহাসড়কের পাশের্ব পারনান্দুয়ালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাগুরা এর প্রাঙ্গণে পশ্চিম পাশের্ব অবস্থিত।
৩। জমি ও সম্পদঃ প্রথম অবস্থায় পারনান্দুয়ালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নিজস্ব জমি থেকে ০২ (দুই) শতাংশ জমি প্রকল্পের নামে রেজিষ্ট্রি করে দেওয়া হয় এবং ঐ জমির উপর একটি হোস্টল নির্মাণ করা হয়। এতে শিক্ষার্থীদের ১০ (দশ) টি আসনসহ একটি ডাইনিং রম্নম এবং সুপারিনটেনডেন্ট এর থাকার রম্নম ও রিসোর্স টিচারের অফিসরম্নম সহ ০২ (দুই) টি টয়লেট ও একটি রান্নাঘর ছিল।
৪। আরম্ভ সময়ঃ কার্যক্রমটি ১৯৭৪ সালে শুরম্ন হয়। প্রথম দিকে ছাত্রাবাস না থাকায় তেমন কোন অগ্রগতি ছিল না। ১৯৮৯ সালে এ.বি.সি নামে একটি এন.জি.ও কর্তৃক ১০ (দশ) শয্যা বিশিষ্ট একটি ছাত্রাবাস তৈরী হওয়ার পর থেকেই প্রকৃত পক্ষে প্রকল্পটির কার্যক্রম শুরম্ন হয়। হোস্টেল তৈরী হওয়ার পূর্বে দুইজন কর্মকর্তা দায়িতব পালন করেছেন। হোস্টেলের অভাবে তারা উলেস্নখযোগ্য অবদান রাখতে পারেননি। হোস্টেল চালুর পর থেকে অদ্যাবধি প্রকল্পটি সুন্দরভাবে পরিচালিত হয়ে আসছে।
৫। পরিচালনা পদ্ধতিঃ এখানে একজন কর্মকর্তা পদবী রিসোর্স টিচার, সমাজ সেবা অধিদফতর কর্তৃক নিয়োজিত রয়েছেন। এ বিভাগে ১টি নিরাপত্তা প্রহরীর পদও আছে। বর্তমানে নিরাপত্তা প্রহরীর পদ শূন্য আছে। অন্যদিকে এ.বি.সি কর্তৃক একজন হোস্টের সুপার ও একজন বাবুর্চি রয়েছেন। এদের বেতন ভাতাদি সহ নিবাসীদের খোরাকী খরচ উক্ত এ.বি.সি কর্তৃপক্ষ দিয়ে থাকেন। এ.বি.সি কর্তৃপক্ষ প্রতিমাসে ছাত্রদের মাথাপিছু খাদ্য ও জ্বালানী বাবদ ৩৫০০/- টাকা, বিকালের নাসত্মার জন্য ৩০০/- টাকা এবং তেল, সাবান, প্রসাধনী ও টয়লেট্রিজ বাবদ ২০০/- টাকা প্রদান করে থাকেন। মাঝে মধ্যে পোশাক- পরিচ্ছদ, শিক্ষা ও চিকিৎসা খরচ বাবদ অতিরিক্ত অর্থ প্রদান করে থাকেন।
৬। নতুন ভবন নির্মাণঃ ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরের আওতায় অত্র প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য হোস্টেল নির্মাণ ও সম্প্রসারণ প্রকল্পের অধীন ১ কোটি ৯৪ লক্ষ টাকা ব্যয়ে পূর্বের ০২ (দুই) শতাংশ জমির পরিবর্তে এ্যাওয়াজকৃত ০৬ (ছয়) শতাংশ জমির উপর নতুন দ্বিতল ভবন নির্মাণ করা হয়েছে এবং বর্তমানে নিবাসীরা নতুন ভবনে অবস্থান করছে।
৭। শিক্ষার্থীর সংখ্যাঃ বর্তমানে এ প্রতিষ্ঠানে ১০ (দশ) জন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ছাত্র রয়েছে।
ক্রঃ নং |
শিক্ষার্থীর নাম |
অধ্যয়নরত শ্রেণী |
০১ |
জয় কুমার কুন্ডু |
এসএসসি শিক্ষার্থী ২০২৩ |
০২ |
মোঃ টুটুল শেখ |
এসএসসি শিক্ষার্থী ২০২৩ |
০৩ |
মোঃ আলাউদ্দিন মোলস্না |
৯ম |
০৪ |
মোঃ মোশারফ হোসেন |
৯ম |
০৫ |
অমৃত বালা |
৮ম |
০৬ |
পলস্নব কুমার বালা |
৭ম |
০৭ |
মোঃ মাসুদ মোলস্না |
৬ষ্ঠ |
০৮ |
মোঃ এজাজুল মোলস্না |
৫ম |
০৯ |
মোঃ ইনছান হোসেন |
৪র্থ |
১০ |
মোঃ মেহেদী হাসান |
২য় |
৮। জনবলঃ ০২ (দুই) জন।
ক) মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, রিসোর্স টিচার-০১ জন।
খ) নিরাপত্তা প্রহরী- ০১টি পদ শূণ্য। এ পদে জরম্নরী ভিত্তিতে জনবল প্রয়োজন।
৯। উপকৃতের সংখ্যাঃ ছাত্রাবাস চালুর পর থেকে এ পর্যমত্ম মোট ২৬ জন এস,এস,সি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করতঃ কৃতকার্য হয়েছে। এদের মধ্যে ১ম বিভাগে= ০৬ জন, ২য় বিভাগে= ০৬ জন, A গ্রেডে=০৯ জন, -A গ্রেডে= ০১ জন, B গ্রেডে= ০৩ এবং C গ্রেডে = ০১ জন।
১০। বর্তমান সমস্যাঃ
ক) নিবাসীদের মাসিক মাথাপিছু খোরাকী খরচ এ.বি.সি ৪০০০/- (চার হাজার) টাকা হারে দিচেছন। এ খরচ বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।
খ) পানীয় জলের সু-ব্যবস্থা না থাকায় একটি গভীর নলকূপ স্থাপন করা প্রয়োজন।
গ) জনবলঃ অত্র প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তা প্রহরীর পদ গত ১৩/১১/২০১৮ তারিখ হতে শূন্য থাকায় নিবাসীদের সঠিক দেখভাল ও সুরক্ষা ব্যহত হচ্ছে বিধায় জরম্নরী ভিত্তিতে একজন নিরাপত্তা প্রহরী নিয়োগ দান প্রয়োজন।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস